৫-৬ টি গ্রুপে ভাগ হয়ে মিরপুরে শুরু হচ্ছে ক্রিকেটারদের গ্রুপ অনুশীলন।

আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৯ জুলাই থেকে একক অনুশীলন শুরু করেছিল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। এরপর থেকে আস্তে আস্তে ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কা সিরিজ কে সামনে রেখে পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

তাই এবার একক অনুশীলন ছেড়ে গ্রুপ অনুশীলনে যোগ দিচ্ছে ক্রিকেটাররা। এই নিয়ে গত মঙ্গলবার অনলাইন মিটিংয়ে বসে ছিল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা সহ বাংলাদেশ জাতীয় দলের সকল কোচিং স্টাফরা। আইসিসি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথমে একক অনুশীলন করেছে ক্রিকেটাররা। তাই আইসিসি নিয়ম অনুযায়ী আস্তে আস্তে গ্রুপ ট্রেনিং এ যোগ দিচ্ছে ক্রিকেটাররা।

গতকাল থেকেই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে গ্রুপ অনুশীলন। এই নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যবিধিতেই ঐ ভাবে বলা আছে শুরুটা হবে সিঙ্গেল ট্রেনিং এরপর আস্তে আস্তে গ্রুপ ট্রেনিং। দুই জন, তিন জন বা পাঁচ জন আস্তে আস্তে বাড়ানোর কথা।

আমরা এই ব্যাপারে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছি, ওদের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মতি নিয়ে। সবার সঙ্গে জুম মিটিং হয়েছে গতকাল (মঙ্গলবার)। কোচ, খেলোয়াড়, ফিজিও সবার সঙ্গে ক্রিকেট অপারেশন্সের একটা গ্রুপ মিটিং হয়েছে। সেই জুম মিটিংয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তবে কেউ যদি চান তাহলে গ্রুপ ট্রেনিং এড়িয়ে একক অনুশীলন করতে পারবেন। যেমনটা তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাইফ হাসান আলাদা অনুশীলন করেছেন। দেবাশীষ চৌধুরী আরো বলেন, ‘একজন ব্যাটসম্যান একজন প্রোপার বোলারের বিপক্ষে বোলিং করবে। এটা হচ্ছে একটা গ্রুপ ট্রেনিং। ধরেন মুশফিক ব্যাটিং করবে আর তাসকিন বোলিং করবে। অনেক সময় দুই জন বোলারকে নিয়ে একজন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করতে পারে, একজন স্পিনার একজন পেসার।’

গতকাল থেকেই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে পুরোপুরি শিলং। স্পিনার তাইজুল ইসলামের গ্রুপের রয়েছেন ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। এছাড়াও শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এক গ্রুপে আছেন। আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে আছেন সৌম্য সরকার। রুবেল হোসেন, মিঠুন এবং মেহেদী হাসান রানা, সাদমান ইসলাম এক সঙ্গে অনুশীলন করেন। ২৯ আগস্ট পর্যন্ত এই সূচি বহাল থাকছে।