২০২০ সালের অনেক সময় ঘরে বসে কাটিয়ে দিতে হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে। এই কয়েক মাসে স্থগিত হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। শেষ পর্যন্ত সবগুলো সিরিস আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে।
তবে আগামী দুই বছর অনেক ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে। এই দুই বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশ দলকে। ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদ তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘নট আউট নোমানে’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বরাত দিয়ে ম্যাচগুলোর সংক্ষিপ্ত সূচি জানিয়েছেন।
সেই সূত্র ধরে ২০২১ এবং ২০২২ সাল মিলিয়ে অন্তত ৩৫টি ওয়ানডে এবং ৫৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে খেলবে অন্তত ১৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি। ২০২২ সালে খেলার কথা রয়েছে ২০টি ওয়ানডে এবং ২৫টি টি-টোয়েন্টি। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম বাইরে আরো অনেকগুলি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
২০২১ সালে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের তালিকা:
১। জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি (২০২১): ২০২১ সালে শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
২। ফেব্রুয়ারি- মার্চ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পর নিজেদের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
৩। মে: নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরেই দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
৪। জুন: জুনে স্থগিত হয়ে যায় এশিয়া কাপ খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
৫। জুন-জুলাই: এরপর দীর্ঘদিন পর জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তিনটি ওয়ানডে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
৬। সেপ্টেম্বর: সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
৭। সেপ্টেম্বর- অক্টোবর: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পর ঐ মাসেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
৮। অক্টোবর- নভেম্বর: এই সময়ে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেমিফাইনালে না উঠলেও অন্তত ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারে বাংলাদেশ।
৯। নভেম্বর- ডিসেম্বর: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
২০২২ সালে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের তালিকা:
১। ফেব্রুয়ারি- মার্চ: ২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
২। মার্চ- এপ্রিল: আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাটিতেই তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
৩। জুন- জুলাই: দক্ষিণ আফ্রিকার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি। সিরিজে দুটি টেস্টও থাকছে।
৪। জুলাই- আগস্ট: এর পরে আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
৫। সেপ্টেম্বর: ঘরে বা বাইরের মাটিতে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। এখানেও সম্ভাব্য ম্যাচ সংখ্যা ধরে নেয়া হয়েছে ছয়টি।
৬। অক্টোবর: এশিয়া কাপের পর ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি এবং একটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।
৭। নভেম্বর: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সম্ভাব্য ম্যাচ সংখ্যা ধরে নেয়া হয়েছে আটটি।
৮। নভেম্বর- ডিসেম্বর: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ ভারতের বিপক্ষে। ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই দুটি টেস্ট এবং তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।