সর্বশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছিলেন তরুণ ফাস্ট বোলার হাসান মাহমুদ। স্কোয়াডে সুযোগ পেলেও একাদশে সুযোগ পাননি তিনি। তবে এরপর থেকেই করোনা ভাইরাসের কারণে লক্ষ্মীপুরে ঘর বন্দি হয়ে পড়েছেন তিনি। সামনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য আবারো নির্বাচকদের বিবেচনায় আছেন হাসান মাহমুদ।
ঘরবন্দী থাকলেও লক্ষীপুরের নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদ। তৈরি হচ্ছেন জাতীয় দলের জন্য। বিসিবি’র দেওয়া নির্দেশনা মেনে ফিটনেস এবং নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জাতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পেলেই ঢাকা চলে আসবেন তিনি।
দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই তরুণ ফাস্ট বোলার জানিয়েছেন, ‘আমি এখানে বোলিং করছি। বাসার পাশে শহীদ স্মৃতি স্কুলের মাঠে বোলিং করি। তিন সপ্তাহ ধরে বোলিং করছি। লাল বলে স্পট বোলিং করি এখন। আর ফিটনেসের কাজ করছি বাসায়। ট্রেডমিল রানিং করি।’
জাতীয় দলের একাদশে জায়গা পেতে হলে অবশ্যই সেটা দিয়ে খেলতে হবে হাসান মাহমুদকে। গত বিপিএলে আলো-ছড়ানো এই ফাস্ট বোলার জানিয়েছেন একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সর্বোচ্চ টা দিতে প্রস্তুত তিনি। “ইনশাল্লাহ সুযোগ পেলে সেরাটা দিতে চেষ্টা করব।’ আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেন এখন টেস্ট দলের নিয়মিত পেসার।
রাহীর মতো দুই দিকে বল মুভ করানো, এবাদতের মতো গতিময় বোলিং করতে পারেন হাসান। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে এই তরুণ বলেন, ‘আমিও দুই দিকে মুভ করাতে পারি।’ এক সপ্তাহ পর ঢাকায় ফেরার চিন্তা করছেন হাসান। ক্যাম্পে ডমিঙ্গো-গিবসনরা সন্তুষ্ট হলে লক্ষ্মীপুরের এই তরুণও লঙ্কাগামী মুমিনুল বাহিনীর অংশ হয়ে যেতে পারেন।