তিন ফরমেটে খেলার জন্য নিজের বোলিং অ্যাকশন পুরোপুরি পরিবর্তন করলেন তাইজুল ইসলাম

বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০ উইকেট এর রেকর্ড রয়েছে স্পিনার তাইজুল ইসলামের। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের নিয়মিত সদস্য তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত খেলল ও ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেকে সেভাবে মিলে ধরতে পারেননি তাইজুল ইসলাম।

অবশেষে তিন ফরমেটে জন্য প্রস্তুত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং পরামর্শক নিউজিল্যান্ডের ভেটোরির পরামর্শের বোলিং একশন পরিবর্তন করে ফেলেছেন তাইজুল ইসলাম। আগের বোলিং একশন পাল্টে এখন নতুন রূপে বোলিং করছেন তাইজুল।

দুই মাস ধরে টানা বোলিং করে নতুন অ্যাকশনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন তিনি। আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তাইজুল ইসলাম বলেন, “৩-৪ মাস পর মাঠে ফিরে আসা কঠিন।

তার পরও ক্রিকেট বোর্ড যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, আমরা ২ মাসের মতো প্র্যাকটিস করলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমি বোলিং নিয়ে কাজ করেছি। ভেটোরির সঙ্গে কথা বলেছি আমার বোলিং নিয়ে, মাঝখানে অ্যাকশন বদলেছি। অ্যাকশন নিয়ে কাজ করেছি। শরীরের সঙ্গে এখন অ্যাকশন মানিয়ে গেছে।”

“এখন টানা ২ ঘণ্টা বোলিং করতেও সমস্যা হচ্ছে না। আমাদের ব্যক্তিগত অনুশীলন যখন ছিল, তখন যে সুবিধাটা হয়েছে, যার যার কাজগুলি নিজের মতো করে করতে পেরেছি। সপ্তাহ দুয়েক হলো ব্যাটম্যানদের বোলিং করছি নেটে। আত্মবিশ্বাস বাড়তে শুরু করেছে, আরও কিছুদিন গেলে আরও বাড়বে আশা করি।”

পুরোপুরি বোলিং একশন পরিবর্তন করা মানে নিজেকে নতুন করে তৈরি করা। হয়তোবা আগের সেই তাইজুল ইসলাম কে ছাড়িয়ে যাবেন এবারে তাইজুল ইসলাম। “আগের অ্যাকশনে একই জায়গায় টানা বল করার সুবিধা পেতাম।

কিন্তু ওই অ্যাকশনে তিন সংস্করণে চালিয়ে যাওয়াটা কঠিন ছিল, কারণ বৈচিত্রের মাত্রা কম ছিল। ভেটোরির সঙ্গে কথা বলার পর তিনি বলেছেন যে এই অ্যাকশনে একইরকম বল করে হয়তো তিন ফরম্যাটে খেলতে পারব।”

“এজন্য বলের বাড়তি বাউন্সের দিক চিন্তা করে, ওভার স্পিনের কথা চিন্তা করে, বিভিন্ন বৈচিত্রের কথা চিন্তা করেই অ্যাকশন বদলে ফেলেছি। এর মধ্যে ফলও পাচ্ছি, বৈচিত্র পেতে সহায়তা করছে নতুন অ্যাকশন।”